আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কৃষি গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়ে এর বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং তা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় ফসলের ফলন উত্তোরওর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাংলাদশে আজ খাদ্য ঘাটতির দেশ হতে খাদ্য উদ্বৃতত্তের দেশে উপনিত হয়েছে।দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা সরকার অঙ্গকিার। সরকার কৃষির যান্ত্রিকিকরণে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সহায়তা প্রদান করছে, প্রয়োজনে আরও সহায়তা বাড়ানো হব।
আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে নিজে কার্যালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি এর সাথে বৈঠকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-অনিক র্বুদনি ( Mrs Marie-Annick BOURDIN), স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভারো দে সালাস ( Mr Alvaro de Salas), জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাইকেল শ্লুটহাইস (Mr. Michael Schultheiss) এবং ইউরোপীয় মশিন এর কমউিনিটি ডেপুটি চিফ কনস্টান্টিনো ওযার্ডকিসের (Mr Konstantinos Vardakis) সাথে বৈঠকে এসব কথা বলনে।
বৈঠকে তারা আসন্ন FAO এর DG নির্বাচনে ফ্রান্সের প্রার্থী Geslain-Lanéelle এর পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলেন।এসময় ব্রেক্সিট নিয়েও কথা হয়।তারা বলেন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগি,কৃষির উন্নয়নে পুর্ণ সহযোগিতা করবেন।ইইউ বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সুশাসন,অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সহযোগিতার মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।’।বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের বিষয়টি দেড় যুগ ধরে বিদ্যমান।বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ অনুকূল ইমেজের আরো প্রসার ঘটাতে হবে। এর জন্য প্রধানত অর্থনৈতিক সংস্কার বিশেষত ব্যবসায় খরচ হ্রাস করতে হবে।এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেগবান করার পরামর্শদেন।
কৃষমিন্ত্রী বলনে; কৃষক এর উৎপাদন বেশি হলেই কৃষক প্রকৃত মুল্য পায় না। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা একান্ত অপরিহার্য।এর জন্য প্রয়োজন কৃষির প্রক্রিয়াজাত ও বানিজ্যিকিকরণ এবং স্থানীয় ও আর্ন্তজাতিক বাজার,এই ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্র ক্রয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে বলে তাদের জানান। আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির ক্ষেত্রে ফ্রান্স,স্পেন,জার্মানি ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের সহায়তা চান মন্ত্রী ।
বৈঠকে শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিং করেনকৃষি মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ।
কৃষি মন্ত্রী বলনে; বোরো ধান নিয়ে সরকার বেশ উদ্বিগ্ন। মুল সমস্যা হলো খাদ্য গুদামের ।খাদ্য গুদামের ধারন ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ মে.টন। সরকার ১২ লাখ মে.টনচাল ও দেড় লাখ মে.টন ধান কেনার যে র্কাযক্রম হাতে নিয়েছে তা বাড়িয়ে ধান ক্রয় করা হবে আরও আড়াই লাখ মে.টন সহ মোট ৪ লাখ মে.টন এবং প্রয়োজনে এ পরমিান আরও বাড়ানো হবে ।ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে,এখানে সিন্ডিকেটের কোনো কাজ নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় ধান/চালরে আদ্রতা মাপার জন্য ৩ হাজার মেশিন ক্রয় করতে যাচ্ছে। ফলে কৃষক মিলে চাল নিয়ে যাওয়ার আগে তার ধানের/চালের আদ্রতা ঠিক আছে কিনা যেনে নিতে পারবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলনে;ধানের উৎপাদন ও কৃষি মজুরী বেশির কারণে এবারে এই পরস্থিতি সৃষ্টি হয়ছে। ধানের মুল্য নির্ধারণ করা ছিল ২৬ টাকা।দেশের ২শ টি যায়গার ৫ হাজার মে.টন ধারণ ক্ষমতার স্টিলের সাইলো নির্মান করা হবে।এখানে ড্রাই মেশিন থাকবে ধান শুকানোর জন্য। এছারা সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে মিল মালিকদের মাধ্যমে চাল তৈরী করে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করা যায় কিনা তাও দেখা হচ্ছে।সর্বপরি কৃষকদের কল্যানে সরকার সবোর্চ্চ আন্তরকি।