সাম্প্রতিক উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহে এবং দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গম, ভুট্টা, সরিষা, বোরো, খেসারি ও ফেলন ফসলে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করার নিমিত্ত কৃষি পূনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচি (রবি/২০১৪-১৫) গ্রহণ করেছে সরকার। রবিবার ১২ অক্টোবর ২০১৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহের জন্য গৃহীত পূনর্বাসন কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি জানান, পুনর্বাসনের আওতায় উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি জেলার মোট ৮৬,৪৭৫ জন কৃষকের জন্য ৮ কোটি ৪৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ২১৮ টাকা ব্যয়ে ৮৬,৪৭৫ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। রোপা আমন ফসল উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ধান ফসলের মোট উৎপাদন পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহে রবি মৌসুমে বোরো ধান, গম, ভুট্টা এবং সরিষা আবাদের পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে মোট ফসল উৎপাদিত হবে ৩৪৮৭০.০৪ মেট্রিক টন।
কৃষিমন্ত্রী আরো জানান, দক্ষিণাঞ্চলে কৃষকদের ফসল আবাদে উৎসাহিত করার জন্যও প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচিতে দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গমসহ ভুট্টা, খেসারী ও ফেলন আবাদে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় মোট ১,১৮,৫৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রায় ১৫ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১,১৮,৫৪০ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। এর ফলে মোট ৪৪৩২৮.২৫ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচিতে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ২ শত ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর ফলে সর্বমোট উৎপাদন আয় হবে ১৮৯ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। ব্যয় ও উৎপাদন হতে প্রাপ্ত আয়ের অনুপাত ১:৭.৮৯। প্রস্তাবিত এ পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচিতে ব্যয়কৃত অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে সংকুলান করা হবে, এর জন্য কোন অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম সহ কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তর- সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।