ধান কাটা ও লাগানোসহ কৃষি কাজে কৃষি শ্রমিক এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আমরা যান্ত্রিকীকরণ শুরু করেছি এবং অচিরেই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করবো। কৃষিতে ৯ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর ভর্তূকির থেকে বাকী ৩ হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।
২১ মে, ২০১৯ তারিখ কৃষি মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮ এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, মিলারদের আমরা জরুরী ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান ও ২ লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের ৩ কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রপ্তানিরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে সরকার কৃষকের সাথে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কথা বলছেন। ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খ্দ্যা ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করতে পারে, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতেও পারবে। কৃষকদের কল্যানে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
তিনি আরও বলেন, সারের ব্যবহার অনেক কৃষক পরিমিতভাবে করেন না। অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার। কৃষির সকল ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারা বছর ধরে ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হাতবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কৃষি সচিব জনাব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, এই সার সুপারিশমালা হ্যান্ডবুকটি ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় কৃষির তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তার ক্ষেত্রে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলায় বইটি প্রকাশের জন্য বিএআরসি’কে ধন্যবাদ জানান।
বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান এমপি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হ্যান্ডবুক-২০১৮ এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।