সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে-কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে অনেক জরিপ করে। তারা একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় ও তারা সেই দলের অংশীদার। এর আগেও ড. ইউনূসকে নিয়ে সিপিডি আন্তরিকতার সাথে জোরেশোরে মাঠে নেমেছিল। তখন জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আজ সোমবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘দেশে ব্যবসায়ে বড় বাধা দুর্নীতি’ সিপিডির সাম্প্রতিক জরিপের এমন ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, তাদের জরিপ পদ্ধতি মানুষকে জানান দরকার। কী পদ্ধতিতে, কীভাবে কতটা বস্তুনিষ্ঠভাবে তারা জরিপ করেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। আর সিপিডি ধোয়া তুলসি পাতা নয়, নিরপেক্ষও নয়।
মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতের মতো দেশেও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, এটিকে সিপিডি কীভাবে দেখে? এ অর্জন কী যাদুবলে হয়েছে? বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, দেশে এখন প্রবৃদ্ধি প্রায় শতকরা ৬ ভাগ। সিপিডি কি জানে দাম বৃদ্ধির কারণে টনপ্রতি ২৫০ ডলারের পটাশিয়াম সার কীভাবে আমরা ১২০০ ডলারে কিনে কৃষকদেরকে ভর্তুকিতে দিয়েছি।
উন্নত দেশসহ সারা বিশ্বেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে, জার্মানিতেও দুর্নীতির অনেক নজির রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও কিছুটা দুর্নীতি আছে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন। দেশ থেকে দুর্নীতি একেবারে নির্মুল হয়ে গেছে-তা বলা যাবে না।
কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা দুটি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছি। ইতিমধ্যে বিমান বন্দরে কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা স্ক্যানার স্থাপন, মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি (সিঙ্গাপুরে হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে) কার্গো জাহাজ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পূর্বাচলে আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এখনও ব্যাংকিং সমস্যা,কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে প্রদত্ত শতকরা ২০ ভাগ প্রণোদনা ঠিকমতো না পাওয়াসহ কিছু সমস্যা রয়েছে; এগুলো নিরসনেও কাজ চলছে।
সভায় কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।