আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
টাঙ্গাইল, ২৫ এপ্রিল
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, সবসময়ই গণতন্ত্র চর্চা করে এসেছে। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। আগামী নির্বাচনেও দলটি গণতন্ত্র চর্চা করবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ। কোন দেশিয় শক্তি, চক্রান্তকারী ও বিদেশিদের যারা পা চাটে- এমন কেউ এ নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারবে না।
আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একই সাথে আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক বিশ্ব বা সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে যতই শক্তিশালী দেশ হোক-তারা কোনক্রমেই যেন আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোন রকম হস্তক্ষেপ না করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে তারা কোন পক্ষ নেবে না, এটিই স্বাভাবিক; এটিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সকলের কাছে এটিই প্রত্যাশা করি। কোন দেশের কোন রকম হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না।
আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন এসময় মন্ত্রী। তিনি বলেন, কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, দেশের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে। কাজেই, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মেলাক; আমি মনে করি এ দেশের মানুষ তা মোকাবেলা করবে। নির্বাচন ছাড়া ষড়যন্ত্র করে বা চোরাগলি পথে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
টাঙ্গাইলে ৫০০ বেডের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য টাঙ্গাইলবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান কৃষিমন্ত্রী ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি শুধু টাঙ্গাইলবাসীর জন্য নয়, উত্তরবঙ্গের অনেক মানুষের জন্যও খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ, টাঙ্গাইল এখন উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে। এ হাসপাতালটিকে আধুনিক সুযোগসুবিধা সংবলিত আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে উন্নীত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এসময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য ছোটমনির, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।