Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st সেপ্টেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধু ছিলেন আলোর বাতি ঘড়--কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2019-09-01

কৃষি মন্ত্রী ড.মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বিশ্বমানচিত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আত্মবিসর্জনের স্মারক লাল-সবুজের পতাকা। তিনি ছিলেন এই বাংলার জনগণের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের আলোর বাতিঘর। ১৫ আগস্ট এই মহামানবকে হত্যা করলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। এ দেশ ও সমাজকে শোষণ করতে চেয়েছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তাকে হত্যা করে খুনিচক্র মনে করেছিল তার আদর্শ এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা এও দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আমাদের বিশ্ব নন্দিত নেত্রীর ওপর বারবার আঘাত হেনেছে, তাকে ২২ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। সামরিক শৈরাচারদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বঙ্গবন্ধুর আত্ম স্বীকৃত খুনিরাই ফ্রিডম পার্টি করেছে। খুনিচক্র চেয়েছিল পদ্মা মেঘনা যমুনার পাড়ে পাড়ে  গড়ে ওঠা স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচলনা করবে।

শনিবার (৩১আগস্ট) রাজধানীর  কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনের মুক্তযোদ্ধা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) আয়োজিত  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস   উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ অসাম্প্রদায়িক,ন্যায় ভিত্তিক,সমতা ভিত্তিক ধর্ম নিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা। এই রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য  আমাদের মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করে। ৭মার্চের ভাষণের পরে বাংলার মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিল। ঘাটের মাঝি,কামার, কুমার,তাতি,জেলে,হিন্দু কি মুসলমান সবাই কাধেঁঁ কাধ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রথম বারের মত ঐক্যবদ্ধ করেন এবং তিনিই আমাদের জাতীয়তা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যদি  হত্যা করা না হতো তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত রাষ্ট্র হতো। তিনি উন্নত রাষ্ট্র রচনার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষ্ঠার সাথে সততার সাথে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে পিতার অসম্পাত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর  নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পুরণের পথে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে।

তিনি আরও বলেন, ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে আমাদের  নানাভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছিল। মহান সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে দেয়নি। বরং মহান সংসদেও দাড়িয়ে বিএনপি নেতারা বলেছেন আওয়ামী লীগ মানুষের সহানুভুতি আদায়ের জন্য এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। বিএনপি একটি সন্ত্রাশী দল তাদের মুখে এসব বাজে কথা মানায়। এরকম অনেক ঘটনা হয়েছে যেগুলো মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার দুরদর্শী নেতৃত্বে দেশকে করেছেন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের প্রায় সব সুচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।  

এক সময় বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিশ্ব  তলাবিহীন ঝুড়ি,দারিদ্র্যপূর্ণ  দেশ হিসেবে গণ্য করত, সেই বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে উলে­খ করেন কৃষিমন্ত্রী। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর ভিত্তি করে টানা ১১ বছর জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনার ফসল। আদর্শ ও চেতনার শক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। যুগে যুগে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। অমর চির প্রেরণাদানকারী।

বিআইএফ এর সভাপতি বিএম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাড.শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, প্রতিমন্ত্রী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, চেয়ারম্যান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।