কৃষি উন্নয়নে গবেষণায় সাফল্যের ফলে দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। কৃষক দরদি মানবিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকের প্রতি তাঁর যে দরদ তার প্রমাণ আবারও রেখেছেন ৫ম বারের মত সারের মূল্য হ্রাস করে। এটি বঙ্গবন্ধু’র কন্যার দ্বারাই সম্ভব। এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যকে সানে রেখে আজকে নিরাপদ সবজির জন্য কৃষকের বাজার এর আয়োজন। বিগত এক বছর ধরে এসব কৃষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাদের উৎপাদিত পন্য এই হাটে ভোক্তাদের জন্য আনা হয়েছে। এই বাজারে বিক্রির জন্য যে সব সবজি আনা হয়েছে এতে কোন ধরনের সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি,বলাচলে নিরাপদ সবজি।
আজ কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সেচ ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষকের বাজার’ কৃষক কর্তৃক সরাসরি বাজারজাতকৃত নিরাপদ সবজির হাট এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য সচেতনতার বেশি প্রয়োজন। কৃষির উন্নয়নের ওপর নির্ভর করে শিল্পের উন্নয়ন। কৃষিজাত পন্যের প্রক্রিয়াজতের শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানসহ এই শিল্পটি প্রসারিত হবে। এবছর এই হাটে ভোক্তাদের যে সাড়া পড়েছে আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই হাটের আয়োজন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলার দুটি করে গ্রামকে নিরাপদ সবজির গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং প্রতিটি জেলার বাজারে একটি করে নিরাপদ সবজি কর্ণার থাকবে যেখানে চাষী নিরাপদ সবজি বিক্রি করবে। এতে করে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন। ভবিষতে এ বাজার সাত দিন ব্যাপি করা হবে। এবং এ বাজারের পন্যের মানের তদারকি করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
কৃষি সচিব বলেন; পন্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া কৃষকের অধিকার। সরকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিএডিসি ৮০ হাজার কন্ট্রাকট ফার্মারের মাধ্যমে নিরাপ খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আধুনিক কৃষির পথচলার শুরু।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন কুটনৈতিক পাড়ায় এরকম একটি হাটের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানান।
মেলার উদ্বোধনের পরে মন্ত্রী মেলার স্টল পরিদর্শন করেন এবং স্টলের কৃষক ভাইদের সাথে কথা বলেন।
কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ, FAO এর বাংলাদেশে প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ইউসুফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএডিসি'র চেয়ারম্যান জনাব মো: সাইদুল ইসলাম।