উত্তম চাষাবাদ পদ্ধতিতে উৎপাদিত আলু যদি জীবানু মুক্ত করে বিদেশে রপ্তানী করা যায় তাহলে আমাদের দেশের কৃষক আলুর ন্যায্য মূল্য পাবে এবং বাজারে কখনোই আলুর বাজার মূল্য কমবে না। বাংলাদেশে আলু রপ্তানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি নিশ্চিত করতে পারলে এটি কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান। অদ্য রবিবার বেলা ১১ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সৈয়দ ওয়াসিকুল হক, চেয়ারম্যান, মাসাওয়া এগ্রো লিমিটেড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বাংলাদেশ এর জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা মো: মাহমুদ হোসেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে এমএমআই প্রকল্পটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এবং সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির সহযোগীতায় রংপুর অঞ্চলের তিনটি কৃষক সমবায়ের মোট ৬০ জন আলু চাষি যার মধ্যে ৩০ জন নারী চাষীদের উত্তম চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করে আলু উৎপাদন করেন। মিঠাপুকুরের আলু চাষী আজিজার রহমান উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানী প্রসঙ্গে বলেন, আলু চাষ রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। বিগত দিনে আমরা আলুতেভাল দাম না পেলেও এ বছর উত্তম পদ্ধতিতে আলু চাষাবাদ করে আলু রপ্তানীকারকের কাছে বিক্রি করে ভাল দাম পেয়ে আমরা খুশি। ভবিষ্যতে আমাদেরকে এই রপ্তানী উপযোগী আলু চাষাবাদে আলুর জাত, মাটি পরীক্ষা, ন্যায্য মূল্য দিয়ে সহযোগীতা করা হয় তাহলে আমরা মান সম্পন্ন রপ্তানী উপযোগী আলু সরবরাহ করুন আমরা আপনাদের সর্বোৎকৃষ্ট আলু সরবরাহ করতে পারবো। এ বিষয়ে প্রধান অতিথি বলেন যে, কৃষি মন্ত্রনালয় সব সময় আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। পরে অনুষ্ঠান শেষে তিনি এই প্রথম দেশে আলু রপ্তানীযোগ্য কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন্ করেন।