Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

আলু রপ্তানির সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভা


প্রকাশন তারিখ : 2019-12-04

মানুষ নিরাপদ খাদ্য চায়। বর্তমান মৌসুমে আলু রপ্তানীর ব্যাপারে কি উদ্যোগ গ্রহণ কর হয়েছে, কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তা জানতে চান। এবং আলু রাপ্তানিতে কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চান। আলু রপ্তানীর উদ্দেশ্য আমদানিকারকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করবে। বারি এ প্রর্যন্ত ৯১ টি আলুর জাত অবমুক্ত করেন। আলু প্রসেসিং করে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।

আজ (বুধবার) কৃষিমন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক এমপি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রপ্তানির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফ্র্যন্স ফ্রাই ও চিপসের জন্য আলুর জাত আবাদ করতে হবে। আলু  প্রক্রিয়াজাত করে মুল্য সংযোজন করে রপ্তানির মাধ্যমে এই শিল্পকে লাভবান করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন; রপ্তানী উপযোগি আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারর্মিং এ যেতে হবে। সরকার যে রপ্তানি উপযোগি আলুর বীজ অবমুক্তির তিন বছরের সময় সীমা তুলে নিয়েছেন, এখন  যে কেউ রপ্তানি উপযোগি আলুর জাত আবাদ করতে পাবরে ,তবে রোগ বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে। যে কোন মুল্যে আলু রপ্তানি করতে হবে এ ব্যাপারে সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে এই শিল্পটিকে লাভজনক করতে হবে। আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯শতাংশ হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন যে, আমাদের আলুতে কোন নেমাটোড নেই। এছাড়া ব্রাউন রড এর কারনে রাশিয়া আলু নেয়া বন্ধ করেছে,পুনরায় সে দেশে আলু রপ্তানির জন্য সেদেশের সাথে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। মান সম্মত আলু ও আন্তর্জাতিক মানের চিপস তৈরী করতে হবে। পাকিস্তানের আলুর মুল্য কম হওয়ায় তারা বাজার দখল করে রেখেছে, সেক্ষেত্রে কি উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তা তারা বলেন। এর মধ্যে পরিবহন খরচ কমানো ওপর তারা জোর দেন। শ্রিলংকা, পাকিস্তান তুরস্কসহ অনেক দেশে আলু রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।   

আলু সংরক্ষণের অভাবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ এবং লাগসই সংরক্ষণ প্রযুক্তির সহজলভ্যতার অভাব। বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিকারক দেশ যে সব শর্ত দিয়েছে তা মেনে  ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (পিসি) নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রপ্তানির জন্য যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে তা পূরণ করে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আলু রপ্তানি হচ্ছে সে সব দেশে কি জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে তা জানতে হবে এবং আমাদের দেশে আবাদ করতে হবে।   

কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান সভাপতিত্বে সভায় আলু উৎপাদতকারী, রপ্তারীকারক ও আলুবীজ উৎপাদনকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংস্থার প্রধানগণ ও কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।