Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে পিয়েরি এলিয়ট ট্রুডু একটি আধুনিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে কানাডা


প্রকাশন তারিখ : 2020-02-16

‘‘কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটিতে (GIFS) এবং বিএআরসিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করবে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে পিয়েরি এলিয়ট ট্রুডু একটি আধুনিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে কানাডা।’’

জিআইএফএস এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বিএআরসি) টেকসই নিরাপদ খাবারের উন্নয়নে সহায়তার জন্য গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বিকাশের অংশীদারিত্বের কাজ করতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে  সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা চুক্তিতে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং কানাডা’র জিআইএফএস এর চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিভ ভিসার (Mr.Steve Visscher) ।

সোমবার (১০ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এর ক্রিস্টাল বলরুমে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও সফররত কানাডা’র সাসকাচোয়ান সরকার এর কৃষিমন্ত্রী ডেভিড মারিট (Mr.David Marit) চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন; কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্যর কথা উল্লেখ করে কৃষির সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেন। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় গৃহিত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, সীমিত সম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে সবজি। এছাড়াও ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে দেশ। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের  অপরিহার্যতা তুলে ধরেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন; বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চয়তার অঙ্গিকারের কথা তুলে ধরেন। কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ দর্শন সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারও কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতসমূহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক মাঠপর্যায়ে স¤প্রসারণ, শস্য বহুমুখীকরণ, আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে কৃষি উৎপাদনের ধারা উর্ধমুখী রয়েছে।

কৃষি ও কৃষকের জন্য বর্তমান সরকার সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। কৃষি উৎপাদন খরচ হ্রাস করার লক্ষ্যে একাধিকবার সারের খুচরা মুল্য কমানো হয়েছে। কৃষিযন্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫০শতাংশ,হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। সর্বপরি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নের্তৃত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে খাদ্য ঘাটতির এই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ;কিছু কিছু ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ব হচ্ছে। 

সাসকাচোয়ান কৃষিমন্ত্রী,মিঃ ডেভিড মেরিট বলেন; আমাদের গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহোগিতামূলক সম্পর্ক এটি একটি মাইলফলক। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করে কৃষি উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। যা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সহায়ক হবে । কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কানাডার সমর্থন এবং উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘকালীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশে একটি কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া কানাডার সাসকাচোয়ান  বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটিতে (জিআইএফএস)  এবং বিএআরসিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করবে।  বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে পিয়েরি এলিয়ট ট্রুডু একটি আধুনিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে কানাডা

কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর আনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। আরও বক্তব্য রাখেন সাসকাচোয়ান এর উপমন্ত্রী রিক বারটন (Rick Burton); বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইট প্রেফোঁটেন (Benoit Prefontaine) প্রমূখ ।