Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd জুন ২০১৯

সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কৃষি মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ


প্রকাশন তারিখ : 2019-06-19

আজ (মঙ্গলবার) কৃষি মন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক এম.পি মন্ত্রণালয় তার অফিসকক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী MS. Mariam AlMeiri ( মিস মারিয়ম আলমেইরি) নের্তৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। আব্দুর রাজ্জক প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয় স্বাগত জানান। খুব সৌহার্দপুর্ণ পরিবেশে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা হয়।  দুদেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ সৃষ্টি রয়েছে।  

কৃষি মন্ত্রী বলেন; এক সময়কার খাদ্য ঘটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। আমাদের প্রধান ফসল ধান হলেও দেশে এখন গম ও ভুট্টা চাষ হচ্ছে। ভুট্টা আমাদের প্লোট্রি শিল্পের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বড় একটি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আগামী দু এক বছরে আমাদের চাহিদার প্রায় সবটুকু ভুট্টা উৎপন্ন করতে সক্ষম হবো। বিভিন্ন দরনের ফলের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে বাংলাদেশ হতে।

আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আমাদের কৃষকবৃন্দ উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না । যে কোন পন্যর উৎপাদন বেশি হলেই এসমস্যা হয়। এই সমস্যা নিরসনে খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকরণ অপরিহার্য। মোট কথা আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের জন্য যা যা করা দরকার সরকার সব করবে। ২০০১ ও ২০০৭ সালে আইলা ও সিডরে আরব আমিরাত আমাদের সহায়তা করেছে,এর জন্য তাদের ধন্যবাদ বানান কৃষি মন্ত্রী।

মারিয়ম আলমেইরি বলেন; আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার জ্ঞানকে কাজে লাগাতে চায় আবুধাবি। কারণ‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। যে কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার জ্ঞানকে কাজে লাগাতে চায় আবুধাবি। তারা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনের আগ্রহের কথা জানান। অবকাঠামোর পাশাপাশি কৃষিতেও তারা অংশ গ্রহণের আগ্রহের কথা জানান। 

কৃষিমন্ত্রী আরও এলন; কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা,অর্থনৈতিক উন্নয়ন,জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ। কৃষি উৎপাদন বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি, বীজ, সার এবং যন্ত্রের ব্যবহার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ এবং পরিবেশ সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসল

বাংলাদেশে তাদের সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কৃষিখাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বল্লেন মারিয়ম আলমেইরি । আমাদের উৎপাদিত বিভন্ন ফসলের সংরক্ষন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতের বড় সম্ভাবনা রয়েছে এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রয়োজন।  তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের কৃষির যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে ব্যাপক। কৃষির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে আরব আমিরাত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে সফলতার প্রশংসা করেন। পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে জেনে তারা প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা ও ডেল্টা প্লান ২১০০ তুলে ধরে । এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের  সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আরব আমিরাতের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মুহম্মদ সাইয়েদ হামেদ আলমেহেরি ,অ্যাম্বাসির প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আলহমউদি,সুমাইয়া সালেম আলোরাইফি,মন্ত্রীর অনুগামী ও মি: আলতাপ,অ্যাম্বাসির অর্থনীতিবিদ।